বিসমিল্লাহীর রহমানির রাহীম
আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা কেমন আছেন? আজ ভাইরাস নিয়ে কিছু আলোচনা করব। তো শুরু করা যাক…….
কম্পিউটর ভাইরাস হলো একটি প্রোগ্রাম যা একটি ধ্বংসকারী হিসেবে নিজেকে অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত করে এর সংক্রমন ঘটায় এরং পযায়ক্রমে এর ধ্বংসকর বিস্তৃতির নিশ্চয়তা বিধান করে। এ ক্ষতিগ্রস্ত প্রোগ্রামগুলো ভাইরাসের হয়ে অন্যান্য অসংক্রমিত প্রোগ্রামগুলোতে সংক্রমন ঘটায়। এর ফলে কম্পিউটারের অন্যান্য ভাল প্রোগ্রাম গুলোতে সংক্রমন ঘটায়।
ইংরেজী ভাইরাস শব্দটির অর্থ হলো “Vital Information Resources Under Siege”। অর্থাৎ,– “গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে”। ভাইরাসের নামকরন করেন গবেষক “ফ্রেড কোহেন”। ভাইরাস কম্পিউটারের যা যা ক্ষতি সাধন করতে পারে…..
1. আপনি MS Word এর গুরুত্বপূর্ণ কোন ডকুমেন্ট লিখতেছেন হঠাৎ করে কম্পিউটারটি হ্যাং হয়ে গেল কী প্রেস করলে ও কাজ করছেনা, এ ক্ষেত্রে রিসেট বাটন চেপে পুনরায় চালু করতে হবে। ফলে আনসেভ করা ফাইলটি হারিয়ে যাবে। অন্য যে কোন কাজ করার সময়ও ভাইরাস কম্পিউটার কে হ্যাং করে দিতে পারে।
2. গুরুত্বপূর্ন অনেক ডাটাবেজ বা অফিসিয়াল ফাইল উলোট-পালোট করে দিতে পারে। এতে করে অফিসিয়াল কাজে ব্যাঘাত ঘটায় সম্ভাবনা থাকে।
3. ভাইরাস সামান্য কয়েক বিট ডেটা পরিবর্তন করে কম্পিউটার সংরক্ষিত ডেটা পরিবর্তন করে হিসাব নিকাসের হেরফের করে দিতে পারে। এতে করে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে।
4. কিছু ভাইরাস হার্ড ডিস্কের বুট সেক্টরে আক্রমন করে ফলে হার্ড ডিস্ক ফরমেট ছাড়া উপায় থাকে না।
5.কম্পিউটারের গতিকে মন্থ্যর করে দিতে পারে।
6. পুরো হার্ডডিস্কের ড্রাইভ গুলোতে আক্রমন করে সমস’ ডাটা মুছে দিতে পারে।
=========কিভাবে বুঝবেন কম্পিউটার ভাইরাস এ আক্রান্ত?===========
কম্পিউটারের গতি মন’র হয়ে যাবে।
হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যায়।
কম্পিউটার হঠাৎ সার্টডাউন হয়ে যেতে পারে।
ব্যবহৃত ফাইল গুলোর আয়তন বৃদ্ধি পায়।
বিভিন্ন ধরনের মেসেজ দেখতে পাবেন।
প্রোগ্রাম চালু হতে অনেক সময় নিবে।
==========ভাইরাস থেকে বাচতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে===========
কম্পিউটারে নতুন ভার্সনের শক্তিশালী এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইনষ্টল করে নিয়মিত ভাইরাস ডেফিনেশন ফাইল আপডেট রাখা এবং নিয়মিত কম্পিউটারের সব ড্রাইভগুলো স্ক্যান করা উচিত।
যেকোন প্রকারের রিমোভেব্যল ডিক্স ব্যবহারের পূর্বে এন্টিভাইরাস সফ্টওয়ার দিয়ে ভাইরাস চেক করে ব্যবহার করা।
ই-মেইল এটাচমেন্ট ফাইল জেনে শুনে খোলা, অপরিচিত জনদের ই-মেইল এটাচমেন্ট ফাইল ডাউনলোড করবেন না।
নিয়মিত ফাইল ব্যাকআপ রাখুন। অন্য কোনো হার্ডডিস্ক সিডিতে রাইট করে কিংবা অনলাইন মিডিয়া ফায়ার/ড্রপবক্স প্রভূতি সাইটে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ব্যকআপ রাখতে পারেন।
মাত্রাতিরিক্ত ভাইরাসের আক্রমণ ঘটলে আপনার OS (উইন্ডস/লিনাক্স প্রভূতি) নতুন করে সেটআপ করে ভালো সিডি/ডিভিডি থেকে এন্টিভাইরাস দিযে প্রথমেই স্ক্যান করে নিন। তারপর অনান্য সফটওয়্যার সেটআপ করে নিন।
কষ্ট করে পোষ্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। —————- সংকলিত
ভাই আমিওতো আপনার মতই একজন রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। তাই আমার কি ভূলত্রূটি হতে পারে না?
আল্লাহ হাফেজ